প্রাইমারি ভাইভা প্রস্তুতি।
নিজেকে যথা সম্ভব সংযত রেখে ধীরস্থির ভাবে প্রশ্নকর্তার উত্থাপিত সমস্যার সমাধান দিতে হবে। নিজেকে প্রকাশ করতে হবে সাবলীলভাবে। ভাইভা বোর্ডে প্রবেশ, বসা, বেরোনো ও উত্তর দেয়ার সময় প্রার্থীর আচরন ও কথোপকথন দ্বারা নির্ধারিত হয় প্রার্থীর সফলতা বা ব্যর্থতা। নাটক বা যাত্রার শিল্পীরা মাসের পর মাস ধরে নাটক যাত্রার অনুশীলন করে শুধুমাত্র একদিন নাটক বা যাত্রাটি দর্শকদের সামনে উপস্থাপনের জন্য। একজন চাকরি প্রার্থী হিসেবে নিয়োগকর্তার সামনে নিজেকে উপস্থাপনের জন্য আপনার প্রস্তুতি কতটা নিখুঁত বা কতটা পূর্ব প্রস্তুতিমূলক?
অনুমতি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে সালাম জানাতে হবে,নিজেকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করুন,মনোযোগ দিয়ে প্রথমে প্রশ্নটি শুনুন ও বোঝার চেষ্টা করুন,আচরনে কোন প্রকার জড়তা রাখা যাবে,
আবেগ তাড়িত হয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দেয়া যাবে না,নিজেকে উপস্থাপন করুন আকর্ষণীয়ভাবে।
কিছু কিছু বিষয় যা আপনার পুরো ভাইবা প্রস্তুতি এক মুহূর্তে শেষ করে দিতে পারে, আবার ভাগ্য ভালো হলে সেরকম কোন সমস্যা নাও হতে পারে, সেরকম কিছু বিষয় আজকে থাকবে যা জানলে লাভ হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। যেমন:
১. বনের বাঘে খায়না, মনের বাঘে খায়: আমরা ফেসবুক গ্রুপে ভাইবা বোর্ডগুলোর ক্যাডার সংখ্যা নিয়ে পোল হয়, সে অনুযায়ী বিভিন্ন বিজ্ঞ সদস্যকে ফাদার অব ক্যাডার , ফাদার অব নন-ক্যাডার উপাধী দিয়। ফেসবুকে যাই করিনা কেন ভাইবার আগে মন থেকে তা মুছে ফেলুন, কারন যে বোর্ড নিয়ে আপনার ভয় এবং সেই বোর্ডেই যদি আপনাকে ভাইবা দিতে হয় তবে ভাইবা শুরুর আগেই আপনি মানসিক ভাবে পিছিয়ে যাবেন যা আপনার স্বাভাবিক পরীক্ষাকে বাধাগ্রস্থ করবে। তাই অনুরোধ কোন বোর্ড নিয়ে পূর্ব নেতিবাচক ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্থ ধারণা পরিত্যাগ করুন। (টিপস, যে বোর্ড নিয়ে আপনার ভয় সেই স্যারকে পছন্দ করার চেষ্টা করুন)
২. যখন কোন স্যার প্রশ্ন শুরু করে, প্রশ্নের শুরুতেই উত্তর কি হবে তা কিছুটা আন্দাজ করা যায়। সে অনুযায়ী মনে মনে প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে রাখতে পারেন। প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শুনে উত্তর করার আগে কিছু সময় নিতে পারেন। প্রশ্নের শেষ ও উত্তরের শুরুতে কিছুটা গ্যাপ আপনার আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পাবে। কারন, আমরা উত্তেজিত ও দুশ্চিন্তায় থাকলে তারাহারা করি যা আমাদের স্বাভাবিক সত্তাকে প্রকাশ করেনা।
৩. পুরো ভাইবা ১৫-২৫ মিনিট বা এর কম বেশি হতে পারে, কিন্তু ভাইবা শেষের ২-৩ মিনিট সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ। শেষ মুহুর্তে সবার মনোযোগ বেড়ে যায়, এই শেষ মুহুর্তটা যদি আপনি ধরতে পারেন এবং শেষটা ভালো করতে পারেন তাহলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবেন।
৪. যে পোশাক পরে ভাইবা দিবেন, ভাইবার আগে একাধিকবার ট্রায়াল দিন। প্রয়োজন হলে ফর্মাল ড্রেস পরে বাইরে ঘুরে আসতে পারেন, আনইজি ফিলিংসটা কমে যাবে।
৫. আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, কোন ধরনের বন্ধু/ছোটভাইকে আপনি পছন্দ করেন?
উত্তর: অবশ্যই স্মার্ট কিন্তু অহংকারী নয়, আপনাকে শ্রদ্ধা করে , আপনার কাছ থেকে শিখতে আগ্রহী, আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে সেরকম ছোট ভাইকেই আপনি পছন্দ করেন।
তাই, বারবার নিজেকে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাবুন, চেয়ারম্যান হিসেবে কোন প্রার্থীকে কি কি বৈশিষ্টের জন্য আপনি পছন্দ করবেন? সে বৈশিষ্ট্যগুলো লিখে ফেলুন এবং নিজেকে সেই প্রার্থীর মতো প্রস্তুত করুন।
৬.কোন প্রশ্নের উত্তরে অজানা গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ব্যবহার না করাই ভালো। এর বিপরীতে আপনার জানা এমন গুরুত্বপূর্ণ শব্দ কৌশলে ব্যবহার করুন যাতে স্যাররা সেই বিষয়ে পরবর্তী প্রশ্ন থাকে।
ভাইভা প্রস্তুতি – যে কথা কেউ বলবেনা (Viva preparation – no one will say that)
কিছু কিছু বিষয় যা আপনার পুরো ভাইবা প্রস্তুতি এক মুহূর্তে শেষ করে দিতে পারে, আবার ভাগ্য ভালো হলে সেরকম কোন সমস্যা নাও হতে পারে, সেরকম কিছু বিষয় আজকে থাকবে যা জানলে লাভ হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। যেমন:
১. বনের বাঘে খায়না, মনের বাঘে খায়: আমরা ফেসবুক গ্রুপে ভাইবা বোর্ডগুলোর ক্যাডার সংখ্যা নিয়ে পোল হয়, সে অনুযায়ী বিভিন্ন বিজ্ঞ সদস্যকে ফাদার অব ক্যাডার , ফাদার অব নন-ক্যাডার উপাধী দিয়। ফেসবুকে যাই করিনা কেন ভাইবার আগে মন থেকে তা মুছে ফেলুন, কারন যে বোর্ড নিয়ে আপনার ভয় এবং সেই বোর্ডেই যদি আপনাকে ভাইবা দিতে হয় তবে ভাইবা শুরুর আগেই আপনি মানসিক ভাবে পিছিয়ে যাবেন যা আপনার স্বাভাবিক পরীক্ষাকে বাধাগ্রস্থ করবে। তাই অনুরোধ কোন বোর্ড নিয়ে পূর্ব নেতিবাচক ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্থ ধারণা পরিত্যাগ করুন। (টিপস, যে বোর্ড নিয়ে আপনার ভয় সেই স্যারকে পছন্দ করার চেষ্টা করুন)
২. যখন কোন স্যার প্রশ্ন শুরু করে, প্রশ্নের শুরুতেই উত্তর কি হবে তা কিছুটা আন্দাজ করা যায়। সে অনুযায়ী মনে মনে প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে রাখতে পারেন। প্রশ্ন মনোযোগ দিয়ে শুনে উত্তর করার আগে কিছু সময় নিতে পারেন। প্রশ্নের শেষ ও উত্তরের শুরুতে কিছুটা গ্যাপ আপনার আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পাবে। কারন, আমরা উত্তেজিত ও দুশ্চিন্তায় থাকলে তারাহারা করি যা আমাদের স্বাভাবিক সত্তাকে প্রকাশ করেনা।
৩. পুরো ভাইবা ১৫-২৫ মিনিট বা এর কম বেশি হতে পারে, কিন্তু ভাইবা শেষের ২-৩ মিনিট সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ। শেষ মুহুর্তে সবার মনোযোগ বেড়ে যায়, এই শেষ মুহুর্তটা যদি আপনি ধরতে পারেন এবং শেষটা ভালো করতে পারেন তাহলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবেন।
৪. যে পোশাক পরে ভাইবা দিবেন, ভাইবার আগে একাধিকবার ট্রায়াল দিন। প্রয়োজন হলে ফর্মাল ড্রেস পরে বাইরে ঘুরে আসতে পারেন, আনইজি ফিলিংসটা কমে যাবে।
৫. আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, কোন ধরনের বন্ধু/ছোটভাইকে আপনি পছন্দ করেন?
উত্তর: অবশ্যই স্মার্ট কিন্তু অহংকারী নয়, আপনাকে শ্রদ্ধা করে , আপনার কাছ থেকে শিখতে আগ্রহী, আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে সেরকম ছোট ভাইকেই আপনি পছন্দ করেন।
তাই, বারবার নিজেকে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাবুন, চেয়ারম্যান হিসেবে কোন প্রার্থীকে কি কি বৈশিষ্টের জন্য আপনি পছন্দ করবেন? সে বৈশিষ্ট্যগুলো লিখে ফেলুন এবং নিজেকে সেই প্রার্থীর মতো প্রস্তুত করুন।
৬.কোন প্রশ্নের উত্তরে অজানা গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ব্যবহার না করাই ভালো। এর বিপরীতে আপনার জানা এমন গুরুত্বপূর্ণ শব্দ কৌশলে ব্যবহার করুন যাতে স্যাররা সেই বিষয়ে পরবর্তী প্রশ্ন করেন । স্যারদের সামনে প্রশ্ন লিস্ট করা থাকেনা, আপনাকে দেখে এবং আপনার উত্তরের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রশ্ন করেন (ব্যতিক্রমও হতে পারে)।
ভাইবা বোর্ড সরাসরি এক কথায় উত্তর অথবা টিকা আকারে প্রশ্ন কম জিজ্ঞাসা করে থাকে। ভাইবা বোর্ডের এমন কতগুলো প্রশ্ন থাকে যেগুলোর উত্তর আপনাকে করতেই হবে যেমন, আপনার প্রিয় ব্যক্তি কে? এবং কেন? এর উত্তর না করে উপায় নাই, কিন্তু এই প্রশ্নটা নিরীহ মনে হলেও এখানে ভালো প্রার্থী ক্যারিশমা দেখাবেন। প্রশ্ন হতে পারে রোহিঙ্গা নিয়ে , বলতে পারে রোহিঙ্গা নিয়ে সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত গুলো কি কি? (খুবই ডেন্সারাস প্রশ্ন!!!)। লিখিত পরীক্ষায় আপনি রোহিঙ্গা নিয়ে অনেক পড়েছেন তাই এই প্রশ্ন আপনার কমন । কমন বলে আপনি খুশি মনে ধুমায়ে ৮-১০ সরকারের ব্যর্থতা বলে দিলেন, ভাবলেন ১০০\১০০ ভাই খুশি হওয়ার কিছু নাই, আপনি কি বলেছেন আর বোর্ড কিভাবে নিয়েছে, এর উপরই আপনার ভাগ্য নির্ভর করছে। তাই, ভাইভার পারফর্মেন্স এসব প্রশ্নের বুদ্ধিদীপ্ত উত্তরের উপরেই নির্ভর করে।
যদি প্রথম বর্ষের কোন সংজ্ঞা জানতে চায়, কিন্তু আপনার মনে নাই , ব্যাপার না, সরি বলে দিন । তবে কিছু স্পর্শকাতর বিষয় যা একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে জানা দরকার ,তা ভুল না করাই ভালো।
উপরের যে প্রশ্ন গুলো বললাম এরকম কিছু প্রশ্ন এখন দেওয়ার চেষ্টা করবো এগুলো আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকলে নিজের আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে যায়।
আপনাদের প্রায় সবারই এই পর্বটা পরিচিত। কারো জন্য উপকারী হলেও হতে পারে অথবা আপনার জন্যও অপরিচিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থাকতে পারে ।
১. কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্ন যেমন আপনার নাম এর অর্থ, এই নামে যদি কোন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব থাকেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনার জন্মতারিখ যদি কোন বিশেষ দিন হয়, ওইদিন , ওইদিনে বিখ্যাত কারো জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকী হলে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত।
২. আপনার গ্রাম, উপজেলা, জেলার নাম, নামের অর্থ, ইতিহাস, স্থানের বিশেষত্ব থাকলে তার কারণ , দর্শনীয় স্থান, আয়তন, জনসংখ্যা, কৃষি, অর্থনীতি।
৩. পুরো ভাইবা ১৫-২৫ মিনিট বা এর কম বেশি হতে পারে, কিন্তু ভাইবা শেষের ২-৩ মিনিট সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ। শেষ মুহুর্তে সবার মনোযোগ বেড়ে যায়, এই শেষ মুহুর্তটা যদি আপনি ধরতে পারেন এবং শেষটা ভালো করতে পারেন তাহলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারবেন।
৪. কোন প্রশ্নের উত্তরে অজানা গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ব্যবহার না করাই ভালো। এর বিপরীতে আপনার জানা এমন গুরুত্বপূর্ণ শব্দ কৌশলে ব্যবহার করুন যাতে স্যাররা সেই বিষয়ে পরবর্তী প্রশ্ন করেন । স্যারদের সামনে প্রশ্ন লিস্ট করা থাকেনা, আপনাকে দেখে এবং আপনার উত্তরের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রশ্ন করেন (ব্যতিক্রমও হতে পারে)।
ভাইবা বোর্ড সরাসরি এক কথায় উত্তর অথবা টিকা আকারে প্রশ্ন কম জিজ্ঞাসা করে থাকে। ভাইবা বোর্ডের এমন কতগুলো প্রশ্ন থাকে যেগুলোর উত্তর আপনাকে করতেই হবে যেমন, আপনার প্রিয় ব্যক্তি কে? এবং কেন? এর উত্তর না করে উপায় নাই,
উপরের যে প্রশ্ন গুলো বললাম এরকম কিছু প্রশ্ন এখন দেওয়ার চেষ্টা করবো এগুলো আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকলে নিজের আত্মবিশ্বাসটা বেড়ে যায়।
: কিছু কমন প্রশ্ন ও এর গুরু্ত্ব (কৃতজ্ঞতা: বিভিন্ন অনলাইন সাইট ও ফেসবুক গ্রুপ)
আপনাদের প্রায় সবারই এই পর্বটা পরিচিত। কারো জন্য উপকারী হলেও হতে পারে অথবা আপনার জন্যও অপরিচিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন থাকতে পারে ।
১. কিছু ব্যক্তিগত প্রশ্ন যেমন আপনার নাম এর অর্থ, এই নামে যদি কোন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব থাকেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত। আপনার জন্মতারিখ যদি কোন বিশেষ দিন হয়, ওইদিন , ওইদিনে বিখ্যাত কারো জন্মবার্ষিকী বা মৃত্যুবার্ষিকী হলে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত।
২. আপনার গ্রাম, উপজেলা, জেলার নাম, নামের অর্থ, ইতিহাস, স্থানের বিশেষত্ব থাকলে তার কারণ , দর্শনীয় স্থান, আয়তন, জনসংখ্যা, কৃষি, অর্থনীতি
৩. আপনার এলাকার খেতাপপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বর্তমান সাংসদের নাম, উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম , জেলা প্রশাসকের নাম ,ইউএনও এর নাম…
৪. আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম, কারো নামে নামকরণ হলে তাঁর বিস্তারিত, প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, প্রথম ভিসি , বিখ্যাত ভিসি, বর্তমান ভিসি, আপনি যখন পড়তেন তখনকার ভিসির নাম।
৫. আপনার ডিগ্রী নিয়ে বিস্তারিত। আপনি জেনারেল ক্যাডার বা টেকনিক্যাল যেই দেন না কেন, আপনার সাবজেক্ট নিয়ে আপনার বেসিক ভালো হওয়া চাই।
৬. আপনার শখ, শখ বাছাই করার কারন। শখ এবং চাকরীর প্রিপারেশন একসাথে কেমন করে ম্যনেজ করতেন। চাকরী হলে এই শখ রাখবেন কিনা?
যদি কেউ শখ হিসেবে বই পড়া না বলেন তবে সরাসরি কথা সাহিত্য অথবা কবিতা বা ভ্রমন যা হয় নির্দিষ্ট করে বলা ভালো। যে শখই বলেন সত্যিটা বলবেন কারণ এখান থেকে পরবর্তী কয়েকটা প্রশ্ন আপনাকে ফেস হতেই হবে।
সমসাময়িক কিছু প্রশ্ন যা প্রার্থীর চিন্তা ভাবনা পরীক্ষা করা হয়:
১. সবথেকে কমন প্রশ্ন আপনার প্রথম পছন্দের বিষয় নিয়ে নিয়ে। এর উত্তর যত ভালো হবে আপনার নম্বরও তত ভালো হবে। এক্ষেত্রে গতানুগতিক উত্তর না করে নিজের শক্তিশালী দিক এবং প্রথম ক্যাডারের সাথে কিভাবে সম্পর্ক করা যায় এবং তা কিভাবে ওই পেশা ও জনগনের সেবায় লাগে তা ফোকাস করুন । ( আপনারা যদি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান এবং আমি যে উত্তর দিবো, সেটা শুধু আমার জন্যই, আপনার উত্তর আপনাকে পরিশ্রম করে বের করতে হবে)। একটা অনুরোধ এই প্রশ্ন নিয়ে আপনারা প্রচুর সময় ব্যয় করুণ।
২. আপনি যদি শিক্ষক না হতে পারেন তবে কি করবেন?
৩. আপনাকে আমরা কেন সিলেক্ট করবো অর্থাৎ আপনার শক্তিশালী দিক।
৪. আপনার দুর্বল দিক (এই প্রশ্নটা সাবধানে করতে হবে যাতে সরাসরি আপনার দুর্বলতা আপনার শক্তিশালী দিকের বিরুদ্ধে না যায়। এমন দুর্বলতা বের করুন যার পজিটিভ দিক দেশের জন্য বা আপনার প্রথম পছন্দের ক্যাডারের জন্য বহন করে)
৫. আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন (নিজে নিজের মতো উত্তর তৈরী করুন)
৬. আপনার পঠিত বিষয় নিয়ে বলতে পারে, এটা আপনার পছন্দ কেন? আপনি অন্য কোন সাবজেক্ট পেলে পড়তেন কিনা? নিজের টেকনিক্যাল/প্রফেশনাল ক্যাডার ছেড়ে কেন জেনারেলে আসতে চান? আপনার প্রথম পছন্দের সাথে আপনার সাবজেক্টের সম্পর্ক।
যাদের প্রথম পছন্দ প্রশাসন:
৭. সিভিল সার্ভিস ছাড়া কি দেশের সেবা করা যাবেনা?
৮. আপনি কি মনে করেন , আমলাতন্ত্র দুর্নীতিগ্রস্ত? অথবা দেশের দুর্নীতি নিয়ে আপনি কি ভাবছেণ? আপনি দুর্নীতি করবেন কিনা? নিজেকে কিভাবে স্বচ্ছ রাখবেন?
৯. আপনি কোচিং করছেন কিনা? ক্যাডার হওয়ার জন্য কোচিং এর অবদান আছে কিনা?
১০. আপনার জীবনের মোটিভেশনাল ব্যক্তিত্ব কে? কেন?
১১. ভাইবা চলাকালীন সময় , আপনি কি নার্ভাস?
১২. বিবাহিত আপুদের জন্য, যারা এত কষ্ট করেও ভাইবা দিবেন, তাদেরকে বলতে পারে, “ আপনি সব কিছু ম্যানেজ করে কিভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন?”
এছাড়াও বিগত ভাইবা পরীক্ষার লাইভ প্রশ্নগুলো ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে পাবেন।
বি.দ্র: এইসব প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে কারো নোট সাহায্য নিতে পারেন তবে সব উত্তর সবার জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে তাই নিজে নোট করুন ও অনুশীলন করুন। প্রশ্নের উত্তর নোট করে রখলে ভাইবার আগে পড়তে সুবিধা হবে।