খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আপডেট লিস্ট।
বঙ্গবন্ধুর চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল।
সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর চার খুনির মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
যাদের খেতাব বাতিল হলো-
লেঃ কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম গেজেট নম্বর ২৫)
লেঃ কর্নেল নূর চৌধুরী (বীর বিক্রম গেজেট নম্বর ৯০)
লেঃ এ এম রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক গেজেট নম্বর ২৬৭)
নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খান (বীর প্রতীক গেজেট নম্বর ৩২৯)
সুতরাং বর্তমানে-
বীরশ্রেষ্ঠ- ০৭ জন।
বীরউত্তম- ৬৮ জন (মুক্তিযোদ্ধা ৬৭ জন)
বীরবিক্রম- ১৭৪ জন।
বীরপ্রতীক- ৪২৪ জন।
মোট খেতাবধারী- ৬৭৩ জন (মুক্তিযোদ্ধা- ৬৭২ জন)।
গুরুত্বপূর্ণ ৩টি নোট
সরকার ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ ৪ ধরনের খেতাব প্রদান করেন।
বঙ্গবন্ধুর দেহরক্ষী হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট নিহত হয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল।
এই সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার ব্রিগেডিয়ার জামিলকে বীরউত্তম খেতাব প্রদান করে ২০১০ সালে।
স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা
বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে ধানমন্ডি ৩২-এর নিজ বাসভবনে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন- বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর একদল তরুণ উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্য।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় ব্যবহৃত হয়- ২৮ টি ‘গোলাবিহীন’ ট্যাঙ্ক এবং ১৮টি চাইনিজ মেশিনগান।
হামলায় বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি-৩২ এর বাড়িতে নিহত হয় মোট- ৮ জন।
হামলায় মোট মারা যায়- ৩৫ জন (ব্রিগেডিয়ার জামিল বাদে)।
বর্তমানে ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন করা হয়- ১৫ আগস্ট।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঘাত-প্রতিঘাত
বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলা করা হয় ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর।
মামলা করেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী এ এফ এম মহিতুল ইসলাম।
১৯৯৭ সালে ১ মার্চ ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারকার্য শুরু হয়।
১৯৯৮ সালে মামলার রায় ঘোষণা করে ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
২০০০ সালে হাইকোর্ট ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়।
সর্বশেষ আপিল বিভাগ ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর ২৯ কর্মদিবস শুনানি করার পর চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে।
২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আসামিদের রিভিউ পিটিশনও খারিজ করে দেওয়া হয়।
ঐ একই দিন ২৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে ৫ ঘাতকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছর পর বিচার বাস্তবায়িত হয়।
৫ খুনির ফাঁসি কার্যকর
২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ৫ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন-
লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান
লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান
মেজর বজলুল হুদা
লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি)
লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)
আরো ২টি নোট
ঘাতকদের একজন বিদেশে পলাতক অবস্থায় মারা যায় এবং চারজন বিদেশে পলাতক রয়েছে।
২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ১২ এপ্রিল তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।